আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3387-এ পৌঁছায় – যা ব্রিটিশ পাউন্ড ক্রয়ের জন্য একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করে। এর ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য মাত্র ১০ পিপস বৃদ্ধি পায়, এরপর এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট থেমে যায়।
যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এম্পায়ার স্টেট ম্যানফ্যাকচারিং সূচকের দুর্বল ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে এবং ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি ক্রিস্টোফার ওয়ালার তুলনামূলকভাবে নমনীয় বা ডোভিশ অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন, এরপরও একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে। এটি নির্দেশ করে যে, সম্প্রতি নিজস্ব কারণে ব্রিটিশ পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পায়নি বরং ডলারের দরপতনের কারণে এটির দর বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি ভবিষ্যতে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড কর্তৃক সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশা আরও জোরালো হয়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের প্রত্যাশার চেয়েও বড় ধরনের কারেকশন দেখা যেতে পারে।
আজ সকালে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের দিকনির্দেশনা নির্ধারণে সহায়ক হিসেবে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্যের বেকারত্ব এবং গড় আয় পরিবর্তনের প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে মার্কেটের কারেন্সি এক্সচেঞ্জ রেটে তাৎপর্যপূর্ণ অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে। একইভাবে, যুক্তরাজ্যের পরিষেবা ও উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচক (PMI) ফলাফলেরও ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে।
মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনগুলো খুব ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, কারণ এগুলো ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের ভবিষ্যৎ মুদ্রানীতির প্রতি প্রত্যাশা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল, বিশেষ করে মজুরি বৃদ্ধির ইংতি পাওয়া গেলে, তা পাউন্ডের মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করতে পারে। বিপরীতে, শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলতে পারে, যা পাউন্ডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
একইভাবে, PMI সূচকগুলো, যেগুলো মূল খাতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি দেয়, সেগুলোকেও বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা হবে—যাতে ব্রিটিশ অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা মূল্যায়ন করা যায়। যদি PMI সূচক ৫০-এর নিচে নেমে আসে, যা ব্যবসায়িক সংকোচনের ইঙ্গিত বহন করে, তাহলে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডকে আরও নমনীয় মুদ্রানীতি প্রণয়নে উৎসাহিত করতে পারে—ফলে পাউন্ডের আরও দরপতন হতে পারে।
দৈনিক ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা ১ এবং ২ বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবো।
পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3385-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.3365-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.3385-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। আজ আসন্ন প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে মূল্য পরপর দুইবার 1.3350-এর লেভেলে পৌঁছানোর ক্ষেত্রেও আমি আজ পাউন্ড কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.3365 এবং 1.3385-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
পরিকল্পনা 1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.3350-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.3334-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার আশা করছি। আজ যুক্তরাজ্যের শ্রমবাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের বিক্রেতারা সক্রিয় হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা 2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে মূল্য পরপর দুইবার 1.3365-এর লেভেলে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.3350 এবং 1.3334-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।